আমরা সবাই জানি, রোদে ভিটামিন ডি আছে। কথাটা সংশোধন করে নেওয়া ভাল- রোদে ভিটামিন ডি নেই; গায়ে রোদ লাগালে দেহে ভিটামিন ডি তৈরি হয়।
আগেই বলে নিই, এই পোস্টটি সাধারন পাঠকদের জন্য যারা স্বাস্থ্য সচেতন বা স্বাস্থ্য সচেতন হতে আগ্রহী। তাদেরকে সহজ ভাষায় বুঝিয়ে দেওয়াই আমাদের উদ্দেশ্য। এটা শিক্ষার্থীদের জন্য নয়; তাদের জন্য অনলাইনে হাজারো তথ্য আছে।
আপনি তো জানেন রোদ থেকে ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। এটুকু জেনে, রোদে যাওয়ার জন্য আপনি কতটুকু সক্রিয় হয়েছেন বা কাজের মধ্য দিয়ে বাস্তবায়নের জন্য আপনি কতটুকু চেষ্টা করেছেন। আমি নিশ্চিত, এই খবরটাকে আপনি দূরদেশের রাজা মারা যাওয়ার খবরের মতই নিয়েছেন। পত্রিকার পাতায় কয়েক সেকেন্ড চোখ বুলিয়ে দেখলেন, তারপর অন্য খবরে চলে গেলেন।
আসলে আমরা চাই, রোদে যাওয়ার গুরুত্বটা আপনার দৈনন্দিন কাজের তালিকায় উঠে আসুক। এবং এ বিষয়ে আপনার অনুভূতি হোক, রাজা মারা যাওয়ার মত নয়, আপনজন হারানোর মত। লক্ষ করুন, আমরা কিন্তু ভিটামিন ডি এর কথা বলছিনা, বলছি রোদে যাওয়ার গুরুত্ব নিয়ে। আপনার এ্যাকশন হবে রোদে যাওয়া নিয়ে, ভিটামিন ডি বানানো নিয়ে নয়, রোদে গেলে ভিটামিন ডি আপনা-আপনিই তৈরি হবে আপনার দেহে।
বিগত এক বছরে আপনি কতদিন রোদে গিয়েছেন?
অবশ্যই গায়ের জামা খুলে। আপনি যদি চাকুরিজীবি হোন, তাহলে নিশ্চিত এর জবাবে আমাদের হতাশ করবেন। শীতকালে হয়ত ৫/৭ দিন রোদে বসেও থাকতে পারেন। কিন্তু এটাই সত্য, প্রকৃতির এই বিনামূল্যের সম্পদকে আপনি দিনের পর দিন বছরের পর বছর অবহেলায় দূরে ঠেলে রেখেছেন। রোদকে, ভিটামিন ডি কে আপনার দেহের মধ্যে সঞ্চয় করেননি- জীবনের জন্য, সুস্থতার জন্য, প্রশান্তির জন্য।
প্রশ্নঃ এখন প্রশ্ন হল, যারা গা খোলে মাঠে কাজ করছেন, তারা কি এই লক্ষ টাকার সম্পদ পাচ্ছেন?
উত্তরঃ অবশ্যই পাচ্ছেন। ভিটামিন ডি এর আশির্বাদে তারা সে সমস্যা থেকে বেঁচে আছেন, ভিটামিন ডি সংকটের অভিশাপে আপনি সে সমস্যায় হাবুডুবু খাচ্ছেন, মারা যাচ্ছেন। হতে পারে তাদের অন্য আরো ৫ টি স্বাস্থ্য সমস্যা আছে, যা আপনার নেই।
যাই হোক, চলুন আমরা স্পষ্ট করে জেনে নিই রোদে যাওয়ার গুরুত্ব কতটুকু
রোদে কেন যাব?
পাল্টা প্রশ্ন করি, রোদে কেন যাবেননা? সৃষ্টিকর্তা আপনার দেহটাকে সৃষ্টি করে কি এই নির্দেশ পাঠিয়েছেন যে আপনি ছায়ায় বসে জীবন না কাটালে তা পঁচে যাবে, গলে যাবে ইত্যাদি? নাকি এমন আদেশ করেছেন, যা করলে আবশ্যিকভাবে আপনাকে রৌদ্রে যেতে হবে? চলুন কোরআনের আয়াত দেখি-
“আমি মানুষকে শ্রমনির্ভর করে সৃষ্টি করেছি।” (সুরা-বালাদঃ আয়াত ৪)
“সালাত আদায় করার পর জমিনে ছড়িয়ে পড়, আল্লাহর অনুগ্রহের (জীবিকার) সন্ধানে ব্যাপৃত হও এবং আল্লাহকে বেশি বেশি স্মরণ কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও।” সুরা- জুমআঃ আয়াত ১০।
সুতরাং প্রিয় পাঠক, আমরা রৌদ্রে যাওয়ার গুন আবিষ্কার করে ফেলেছি, রৌদ্রে যেতে পারছি এ আমাদের কৃতিত্ত্ব নয়। রৌদ্রে না যাওয়াটাই হল গাফিলতি। রৌদ্রে গেলে, বিজ্ঞান যা আবিষ্কার করেছে তা না জানলেও মানুষ রৌদ্রে যাওয়ার উপকারিতা পেয়ে যেত। এখন স্বাভাবিকভাবে যারা রৌদ্রে যাচ্ছে, তারা তা পাচ্ছে।
যাই হোক, মূল কথায় আসি। রোদে যাওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপকার হল-
ভিটামিন ডি (Vitamin D) পাওয়া
ভিটামিন ডি নিয়ে আমরা পরবর্তী ধাপে বিস্তারিত বলেছি। কিন্তু ভিটামিন ডি ই শুধুমাত্র রোদের একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ প্রোডাক্ট নয়। রৌদে থেকে আমরা যে যে স্বাস্থ্য উপকারিতা (Health Benefits) পেতে পারি তা দেখে নিন-
রৌদ্রে যাওয়ার স্বাস্থ্য উপকারিতা
১. রৌদ্র দেহে ভিটামিন ডি তৈরি করে যা প্রধানত হাড় ও দাঁত গঠনে সহায়তা করে এবং ইমিউনি সিস্টেম ডেভেলাপ করে অর্থাৎ রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটায়।
২. কোলেস্টেরল কমিয়ে ওজন কমাতে সাহায্য করে।
৩. ঘুম-জাগরন চক্র (Circadian rhythm) ঠিক করে দেয় অর্থাৎ ভাল ঘুমাতে সাহায্য করে এবং নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমাতে ও জেগে উঠতে সাহায্য করে।
৪. বিষন্নতা দূর করে কর্মোদ্দীপনা বৃদ্ধি করে দেয়।
৫. ত্বকের স্বাস্থ্য উন্নত করে।
৬. শরীরের বিপাক ক্রিয়া বৃদ্ধি করে।
৭. ক্যান্সার ও হৃদ্রোগ প্রতিরোধক।
৮. রোদে গেলে ঘাম হয়। এর ফলে ঘামের মাধ্যমে দেহের ডিটক্সিফাই হয় অর্থাৎ দেহের বিষক্রিয়া দূর হয়।
আর ভিটামিন ডি এর উপকারিতার কথা তো সবাই জানে। কিন্তু আপনি কতটুকু জানেন? আপনাকে বেকায়দায় ফেলার জন্য নয়। আসলে আমি বলতে চাচ্ছি, ভিটামিন ডি এর বড় বড় বেনিফিটগুলোর কথা সাধারন মানুষ জানেই না।
ডাক্তাররাও সচরাচর ভিটামিন ডি এর টেস্ট দেননা। ফলে ভিটামিন ডি এর ঘাটতিজনিত অসুখে পড়ে আমরা হাসপাতালের এক ডিপার্টমেন্ট থেকে অন্য ডিপার্টমেন্টে ছুটোছুটি করে জীবন ক্ষয় করি। অথচ ভিটামিন ডি এর ঘাটতি পূরণ হলেই সেই রোগ থেক হয়ত মুক্তি পাওয়া যেত। তাহলে চলুন জেনে নিই ভিটামিন ডি এর গুণাগুণ-
ভিটামিন ডি এর স্বাস্থ্য উপকারিতা
- ভিটামিন ডি হাড় শক্ত করে।
- দাঁত শক্ত করে।
- শিশুদের হাড়ের বৃদ্ধি নিশ্চিত করে রিকেট রোগ থেকে বাঁচায়।
- পেশি শক্তিশালী করে।
- ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার ক্ষুধা কমায়, ফলে ওজন কমাতে সাহায্য করে।
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বা ইমিউনিটি (Immunity) বৃদ্ধি করে।
- শরীরের প্রদাহ (Inflamation) কমায়।
- শারীরিক শক্তি ও পরিশ্রমের ক্ষমতা বাড়ায়।
- ক্লান্তি ও দুর্বলতা কমিয়ে শরীরকে এনার্জেটিক করে ও উজ্জীবিত রাখে।
- ভিটামিন ডি যৌন হরমোন টেস্টোস্টেরন তৈরির কাঁচামাল। ভিটামিন ডি এর সাথে কোলেস্টেরল সহযোগে তৈরি হয় টেস্টোস্টেরন। টেস্টোস্টেরন পুরুষের যৌন দুর্বলতা দূর করে যৌন শক্তি বৃদ্ধি করে এবং ইরেক্টাইল ডিসফাংশন (Erectile Dysfunction) এর মত যৌন সমস্যা দূর করে লক্ষ টাকার চিকিৎসা করে, যা ঔষধের মাধ্যমে কখনো সম্ভব নয়।
- তারুন্য বৃদ্ধি করে, তারুন্য ধরে রাখে।
কিন্তু দেহে ভিটামিন ডি এর অভাব আছে কিনা, তা কিভাবে বুঝব? চলুন তা জেনে নিই
ভিটামিন ডি এর অভাব হলে বুঝব কিভাবে, লক্ষন কি?
ভিটামিন ডি এর অভাবে নিম্নরূপ স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দেয়-
- ভিটামিন ডি এর অভাবে মাংসপেশির দুর্বলতা দেখা দেয়।
- বিষন্নতা বা ডিপ্রেশন (Depression) রোগ সৃষ্টি হয়, কাজে আগ্রহ-অনুপ্রেরনা থাকেনা এবং মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়।
- হাড়ে ফাটল দেখা দেয়, হাড় ভঙ্গুর হয়ে যায় বা সহজেই ভেঙ্গে যাওয়ার ঝুঁকি সৃষ্টি হয়, হাড়ে ব্যাথা হয়। এছাড়া অস্থিসন্ধিগুলিতে বিকৃতি দেখা দেয়।
- দাঁতে ক্ষয় হয়, দাঁত সহজেই ভেঙ্গে পড়ার ঝুঁকি সৃষ্টি হয়।
- ভিটামিন ডি এর অভাবে উচ্চ রক্তচাপের মাত্রা বৃদ্ধি পায়।
- দীর্ঘমেয়াদী ক্লান্তি ও অবসাদ রোগ দেখা দেয়।
- চুল পড়ে যাওয়ার প্রবণতা দেখা দেয়। তবে, ভিটামিন ডি এর অভাব ছাড়াও অন্য কারনে চুল পড়া সমস্যা দেখা দিতে পারে।
- দীর্ঘস্থায়ী পিঠে-ব্যাথা রোগ দেখা দেয়।
- শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমতে শুরু করে। অবশ্য রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়ার অন্য কারনও আছে।
এখন প্রশ্ন হল- ভিটামিন ডি এর ঘাটতি পূরণ সহ, এত যে রৌদ্রে যাওয়ার উপকারিতার কথা বললাম, কিন্তু রৌদ্রে যাব কিভাবে, কোথায় পাব রৌদ্র, এত সময় পাব কোথায়, রৌদ্র কি গা খুলে লাগাতে হবে, মহিলারা কিভাবে রোদ পোহাবে ইত্যাদি অনেক প্রশ্ন এসে আপনার আমার পথ ব্লক করে দাঁড়ায়? চলুন আমরা এই চ্যালেঞ্জগুলো নিয়ে কথা বলি।
রৌদ্রে যাওয়ার চ্যালেঞ্জ নিন
রৌদ্রে যাওয়াটা ডাঃ জাহাঙ্গীর কবিরের জে. কে. লাইফস্টাইলেরই একটি চ্যালেঞ্জ। চ্যালেঞ্জকে চ্যালেঞ্জ হিসাবেই গ্রহন করুন, হালকাভাবে নিবেননা। তবেই সেটা আর চ্যালেঞ্জ থাকবেনা। চলুন আমরা রৌদ্রে যাওয়ার বিষয়ে ডাঃ জাহাঙ্গীর কবিরের পরামর্শের সাথে সমন্বয় করে রৌদ্রে যাওয়ার উপায়গুলো নিজেদের মত করে আবিস্কার করি।
প্রশ্ন-১: রৌদ্রে কি জামা-কাপড় ছেড়ে খালি গায়ে যেতে হবে? নাকি জামা-কাপড় থাকলেও সমস্যা নাই?
উত্তরঃ এটি সবচেয়ে বেশি উচ্চারিত প্রশ্ন। এর উত্তর হল- জি না, গায়ে জামা কাপড় থাকলে চলবেনা। রোদ লাগাতে হবে চামড়ায়, কাপড়ের উপরে নয়। রৌদ্রে যাওয়া মানে আপনি দেহটাকে সূর্যের আলোয় চার্জ করে নিচ্ছেন। সহজে বুঝার জন্য আপনি সৌর বিদ্যুতের কথা স্মরন করতে পারেন। সৌর বিদ্যুতের প্যানেল রৌদ্রে খোলা থাকে। এই প্যানেলের যত বেশি স্থানে সূর্যের আলো পড়বে, সিস্টমটিতে তত বেশি চার্জ হবে। ফলে বিদ্যুতও তত বেশি পাওয়া যাবে। আপনার দেহের ক্ষেত্রেও তাই।
প্রশ্ন-২: তাহলে মহিলারা কিভাবে সূর্যের আলো পাবে?
উত্তরঃ চ্যালেঞ্জ, এক কথায় চ্যালেঞ্জ নিতে হবে। মহিলাদের জন্য এটা একটা সমস্যা বটে- বিশেষ করে পর্দানশীল মহিলাদের ক্ষেত্রে। যাই হোক, এট বড় উপকার পেতে হলে ত্যাগ স্বীকার তো করতেই হবে। এক্ষেত্রে আমি ডাঃ জাহাঙ্গীর কবিরের সাথে একমত। মহিলারা বাড়ির ছাদে বা বারান্দায় যদি সুযোগ থাকে তাহলে সেখানে পর্দা দিয়ে ঘেরাও করে রৌদ্র লাগানোর চ্যানেল তারা নিজেরা পরিবারের সদস্যদের সাহায্য নিয়ে করে নিবে। প্রত্যেকেরই সুযোগের ক্ষেত্রটা আলাদা আলাদা। গ্রামাঞ্চলে পরিস্থিতিটা ভিন্ন। সুতরাং প্রত্যেকেই যার যার মত করে সু্যোগ তৈরি করে নেবে ও তার সদ্ব্যবহার করবে।
প্রশ্ন-৩: শুনেছি রৌদ্রে বেশিক্ষন থাকলে ত্বকের বা চামড়ার ক্ষতি হয়, এর জন্য কি করা যায়?
উত্তরঃ শরীরের যে সমস্ত জায়গা রৌদ্রের জন্য খোলা থাকবে, সে স্থানে নারিকেল তেল, বিশেষ করে- এক্সট্রা ভার্জিন কোকোনাট অয়েল মেখে যেতে হবে। এতে সূর্যের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে ত্বক রক্ষা পাবে। কোন রাসায়নিক সানস্ক্রিন ব্যবহার করবেননা। এতে ভিটামিন ডি কম পাবেন, তাছাড়া ত্বকেরও ক্ষতি হতে পারে।
প্রশ্ন-৪: প্রতিদিন কতক্ষন রৌদ্রে থাকতে হবে?
উত্তরঃ এ সম্পর্কে বিভিন্ন জনের বিভিন্ন মত। ডঃ জাহাঙ্গীর কবিরের মত, কমপক্ষে ২০ মিনিট রৌদ্রে থাকতে হবে। কিন্তু অভিজ্ঞতা থেকে দেখা গেছে যে বছরের ২/৩ মাস সূর্যের আলো পাওয়াই যায়না। এছাড়া আপনার থাকবে ব্যক্তিগত সমস্যা, যখন আপনার রোদে যাওয়ার সময় হয়ে উঠবেনা। সুররাং যখনই সময় পাওয়া যাবে বেশি করে গায়ে রৌদ্র লাগিয়ে চার্জ করে নিন দেহটাকে। ২০ মিনিট থেকে ৪০ মিনিট বা ভিটামিন ডি লেভেল যদি অনেক কম থাকে, তাহলে সর্বোচ্চ এক ঘন্টা।
প্রশ্ন-৫: ভিটামিন ডি লেভেল কত থাকাটা অপটিমাল বা সবচেয়ে ভাল?
উত্তরঃ ডঃ জাহাঙ্গীর কবিরের মতে, ৯০ থেকে ১০০। এর চেয়ে যত কম হবে, তত বেশি আপনি ভিটামিন ডি এর অভাবজনিত স্বাস্থ্য সমস্যার ঝুঁকির মধ্যে থাকবেন। আপনার ভিটামিন ডি টা আজই টেস্ট করিয়ে নেন। কোন ডাক্তারের রেফারেন্স ছাড়া ‘সেল্ফ রেফারেন্স’ দিয়েও আপনি যে কোন ডায়াগনোস্টিক সেন্টার থেকে তা করাতে পারেন।
প্রশ্ন-৬: কিন্তু আমি অনেক ব্যস্ত। রৌদ্রে যাব কি করে, সময় পাব কোথায়?
উত্তরঃ আপনি ব্যস্ত থাকবেননা, তা কি করে হয়। ব্যস্ত থাকাটাই স্বাভাবিক। কিন্তু আপনার আপনার যদি আপনার প্রতি মায়া থাকে, যদি আপনি আপনাকে ভালবাসেন, তাহলে আপনাকে রৌদ্রে যেতে হবে, এটাই শেষ কথা মনে করুন।
আপনি যদি লাইফস্টাইলে আসেন, তাহলে শারীরিক ব্যায়াম, নিঃশ্বাসের ব্যায়াম- এইসব করতে হবে। এখন সময় বাঁচানোর জন্য আপনি ইচ্ছা করলে হাঁটা বা ব্যায়ামের কাজটা কিছু সময় রোদের মধ্যে করতে পারেন। এতে দুটি কাজই হয়ে যাবে। তাছড়া আপনি যখন রৌদ্রে বসবেন, তখন নিঃশ্বাসের ব্যায়ামটা সেরে নিতে পারেন। এভাবেও দুটি কাজই হয়ে যাবে। আপনি যদি প্র্যাক্টিসিং মুসলিম হয়ে থাকেন, তাহলে রোদে বসে আপনি নিয়মিত জিকির-আজগার বা কিছু অজিফাও সম্পন্ন করে ফেলতে পারেন। এছাড়া রোদে বসে কিছু টেবিল ওয়ার্কও সেরে নিতে পারেন।