সুপ্রিয় দর্শনার্থী-
ডাঃ জাহাঙ্গীর কবির, একাই শুরু করে দিয়েছেন একটি বিপ্লব, স্বাস্থ্য বিপ্লব। বাংলাদেশে বসে সারা বিশ্বের মানুষের জন্য।
ছোটবেলা থেকে শুনে এসেছি, ডায়াবেটিস ভালো হয়না। ডাক্তারের পরামর্শমত ওষুধ আর রুটিনমাফিক খাবার খেয়ে নিয়ন্ত্রনে রাখতে হয় ডায়াবেটিস।
জাহাঙ্গীর কবির ঘোষনা করলেন, “ডায়াবেটিস ভাল হয় এবং ওষুধ ছাড়াই হয় এবং এক সপ্তাহের মধ্যেই সম্ভব।” তিনি আরো বলেন, “এক সপ্তাহে বাংলাদেশে কোন ডায়াবেটিস রোগী থাকবেনা যদি কয়েকটি পরামর্শ মেনে চলা হয়।”
তিনি চ্যলেঞ্জ ছুড়ে দিলেন শুধু বাংলাদেশের ডাক্তারের প্রতিই নয়, গোটা বিশ্বের ডাক্তারদের প্রতি এবং খোদ চিকিৎসা বিজ্ঞানের প্রতি।
কি সেই চ্যালেঞ্জ?
তিনি দৃঢ়কণ্ঠে ঘোষনা করলেন- “ডাক্তাররা যে পদ্ধতিতে ডায়াবেটিস রোগীর চিকিৎসা করেন, তা ভুল। শুধু ভুলই নয়, তারা যে চিকিৎসা ও ব্যবস্থাপত্র দেন সেটা হল রোগ পুষে রেখে, দিনে দিনে রোগের অবনতি ঘটিয়ে, রোগীকে দ্রুত মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়ার চিকিৎসা।”
১৯৫৬ সালে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশের ডায়াবেটিক হাসপাতাল (BIRDEM) আজো পর্যন্ত এই চ্যালেঞ্জ গ্রহন করতে পারেনি। তার মানে এখনো পর্যন্ত তারা ভুলের পথেই হাঁটছেন।
আর ডাঃ জাহাঙ্গীর কবিরের হাত ধরে এবং তার পরামর্শে হাজার হাজার ডায়াবেটিস রোগী বহু বহু মরণব্যাধি হার্ট এ্যাটাক, ব্রেইন স্ট্রোক, হৃদরোগ, রক্তনালীতে ব্লক, কিডনি জটিলতা, ফ্যাটি লিভার ইত্যাদির হুমকি এড়িয়ে ওষুধমুক্ত সুস্থ-স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছেন। আরো লক্ষ লক্ষ মানুষ বর্তমান ও ভবিষ্যতে রোগমুক্ত, ওষুধমুক্ত সুস্থ জীবনযাপনের জন্য ডাঃ জাহাঙ্গীর কবিরের লাইফস্টাইল অনুসরন করে চলেছেন। ক্রমবর্ধমান হারে বাড়ছে এই সংখ্যা।
এখন প্রশ্ন জাগে, কি সেই ম্যাকানিজ্ম যার মাধ্যমে ডাঃ জাহাঙ্গীর কবির ডায়াবেটিস নির্মূলে এক নতুন যুগের সূচনা করেন?
ম্যাকানিজ্মটা একেবারে সহজ- সরল যা যে কোন সাধারন মানুষও বুঝবে। এবং তিনি বুঝাতে সক্ষমও হয়েছেন লক্ষ লক্ষ মানুষকে যার প্রমান তার প্রতিদিনের লাইভ ভিডিওগুলো।
তাহলে দেখে নেওয়া যাক, সেই ম্যাকানিজ্মটি।
ডায়াবেটিস চিকিৎসায় ডাঃ জাহাঙ্গীর কবিরের ম্যাকানিজ্ম
ডাঃ জাহাঙ্গীর কবিরের ম্যাকানিজ্মটি বুঝার জন্য একটি WORD জানা জরুরি। আর সেটা হল ‘ইনসুলিন রেসিস্ট্যান্স (Insulin Resistance)’। আমরা যখন প্রয়োজনের অতিরিক্ত খাবার খাই- বিশেষ করে চিনি জাতীয় খাবার, তার যে অংশ দেহে ব্যবহৃত হয়না (অতিরিক্ত), তা কোষে গিয়ে চর্বি আকারে জমা হয়। চিনিকে কোষে ঢুকায় ইনসুলিন (Insulin)। কোনক্রমে যদি কোষে চর্বি সঞ্চিত হওয়ার মত আর জায়গা অবশিষ্ট না থাকে, তখন কোষ কোষের ভিতরে ইনসুলিন প্রবেশে বাধা দান করার মত একটি প্রতিরোধী (Resistant) তৈরি করে, একেই বলে ‘ইনসুলিন রেসিস্ট্যান্স (Insulin Resistance) বা IR’
প্রশ্নঃ ইনসুলিন রেসিস্ট্যান্স তো বুঝা গেল, তাহলে ডায়াবেটিসটা কি?
উত্তরঃ উত্তর সহজ। কারো ইনসুলিন রেসিস্ট্যান্স বা IR থাকলে রক্তের চিনি আর কোষে ঢুকতে পারেনা, চিনি বা Sugar রক্তের মধ্যেই ঘুরাফেরা করে। ফলে সৃষ্টি হয় নানা ধরনের জটিল শারীরিক সমস্যার। একেই বলে ডায়াবেটিস (Diabetes)। এক কথায়, ডায়াবেটিস মানে কোষে overload বা কোষে জায়গা নেই।
প্রশ্নঃ এক্ষেত্রে প্রথাগতভাবে ডাক্তাররা কিভাবে ডায়াবেটিসের চিকিৎসা করেন?
উত্তরঃ ডাঃ জাহাঙ্গীর কবিরের ভাষ্যমতে, ডাক্তাররা প্রথাগতভাবে রক্তের অতিরিক্ত চিনিকে জোরপূর্বক কোষে ঢুকানোর জন্য বাইরে থেকে অতিরিক্ত ইনসুলিন পুশআপ (Inject) করার নির্দেশ দেন। ওভারলোড হওয়া কোষে অতিরিক্ত সুগার ঢুকালে রোগির জন্য আপাতত স্বস্তি মিললেও কোষের বারটা বাজে। অন্য কথায়, আরো জটিল থেকে জটিলতর শারীরিক সমস্যার সৃষ্টি হয়।
প্রশ্নঃ এক্ষেত্রে ডাঃ জাহাঙ্গীর কবিরের চিকিৎসা কি?
উত্তরঃ একেবারে সহজ। ডাঃ জাহাঙ্গীর কবিরের চিকিৎসার মূলমন্ত্র হল ‘কোষ খালি করা।’ কোন ওষুধ নয়, ইনসুলিন নয়,নয় ছয়বেলা খাবার। শুধু কোষ খালি করার ব্যবস্থা করতে পারলেই সবকিছু স্বাভাবিকভাবে, স্বাভাবিক ছন্দে চলতে থাকবে। ডায়াবেটিসের সাথে সংশ্লিষ্ট অনেক রোগ থেকে বাঁচা যাবে। সম্ভাব্য স্বাস্থ্য জটিলতাগুলো Reverse হয়ে পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসবে।
প্রশ্নঃ তাহলে কোষ খালি করা যায় কিভাবে?
উত্তরঃ কোষ খালি করার কোন ওষুধ পৃথিবীর কোথাও নেই। যে পদ্ধতিতে ডাঃ জাহাঙ্গীর কবির কোষ খালি করেন তা হল-
- রোজা ও ফাস্টিং এর মাধ্যমে।
- সাময়িক সময়ের জন্য চিনি বা শর্করা জাতীয় খাবার (ভাত, রুটি, ফল, দুধ, চিনি, মিষ্টি, খেজুর, মুড়ি, চিড়া ইত্যাদি) সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে দিয়ে।
- ফ্যাট অ্যাডাপ্টেশনের মাধ্যমে।
- অটোফেজি প্রক্রিয়ায়।
- ব্যায়ামের মাধ্যমে।
যাই হোক, এই পদ্ধতিগুলো নিয়ে আমরা পরবর্তীতে আলোচনা করব।
গতানুগতিক চিকিৎসায় ডাঃ জাহাঙ্গীর কবিরের অভিযোগ
কারো ইনসুলিন রেসিস্ট্যান্স (Insulin Resistance) বা IR কত, তা জানা যায় Homa IR পরীক্ষার মাধ্যমে। Homa IR ২ এর নিচে থাকতে হবে। সবচেয়ে ভাল হয় ১ হলে। Homa IR ২ এর উপরে যত বেশি হবে, ডায়াবেটিসের তীব্রতাও তত বেশি হবে। Homa IR টেস্ট ডায়াবেটিসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা হওয়া সত্ত্বেও ডাক্তাররা Homa IR টেস্ট করতে দেননা।
আবার ডাক্তাররা ডায়াবেটিসের টেস্ট অর্থাৎ রক্তে চিনির পরিমান বের করার টেস্ট দেন, কিন্তু রক্তের ইনসুলিন মাপার টেস্ট দেননা।
এছাড়া, রক্তে যথেষ্ট পরিমাণ ইনসুলিন উৎপাদন হচ্ছে কিনা তা জানা যায় C-peptide টেস্টের মাধ্যমে। এই টেস্টটিও ডাক্তাররা দেননা অর্থাৎ- ইনসুলিনের প্রকৃত অবস্থা না জেনেই তারা ইনসুলিন ইনজেক্শন প্রেস্ক্রাইব করেন যা ভয়ংকর।
এত জরুরী টেস্টগুলো না করিয়েই কিভাবে যুগ যুগ ধরে ডায়াবেটিসের চিকিৎসা চলছে তা সত্যিই রহস্যময়।
ডাঃ জাহাঙ্গীর কবির কি শুধু ডায়াবেটিসের চিকিৎসা করেন?
মোটেই না। প্রকৃত অর্থে তিনি কোন চিকিৎসাই করেননা। ওষুধ লিখেননা, সিঙ্গেল কোন রোগের টেস্ট দেননা, অপারেশন লিখেননা। আসলে তিনি লাইফস্টাইল (Lifestyle) পরিবর্তন করে দেন (Lifestyle Modifier) যার মাধ্যমে তার টার্গেট করা সকল রোগের প্রতিকার ও প্রতিরোধ হয়ে যায়।
যুগ-যন্ত্রনায় পিস্ট আর রোগ যন্ত্রনায় কাতর, খাদ্য ও বাতাসের বিষে ডুবে থাকা মানুষের জীবনকে প্রাকৃতিক ধারায় ফিরিয়ে আনতে তৃণমূল রোগীদের সাথে প্র্যাকটিক্যালি কাজ করছেন তিনি। তার প্রতিষ্ঠানটি কোন হাসপাতাল নয়, একটি সেবাকেন্দ্র। যে কেউ সেখানে পা রাখলেই বুঝতে পারবেন।
সাধারনভাবে বলতে গেলে, তিনি টার্গেট (Target) করেন লাইফস্টাইল (Lifestyle) জনিত রোগগুলোকে বা লাইফস্টাইল জনিত রোগগুলো নিয়ে কাজ করেন। এর মধ্যে প্রধান হল ডায়াবেটিস যা দেহে রোগ সৃষ্টির সবচেয়ে বড় Culprit । কারন ডায়াবেটিসের কারনে প্রায় ৬০-৭০ টি মরনঘাতি রোগে মানুষ আক্রান্ত হয় যার জন্য তাকে ধুকে ধুকে মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা করতে হয়। এরকম কিছু রোগ হল- স্থূলতা, উচ্চ রক্তচাপ, নিম্ন রক্তচাপ, হার্টের দুর্বলতা, হার্ট ব্লক, হার্ট এ্যাটাক, ব্রেইন স্ট্রোক, রক্তনালির ব্লক, প্যারালাইসিস, বাত ব্যাথা, লিভার সিরোসিস, ফ্যাটি লিভার, কিডনি ড্যামেজ, কিডনি ফেইলিওর, ক্যান্সার, মাথা ঘুরানো, চোখ নষ্ট হয়ে যাওয়া ইত্যাদি।
তিনি কোন ইমার্জেন্সি রোগের চিকিৎসা করেননা। জীবানুঘটিত রোগের রোগি এবং লাইফস্টাইল বহির্ভূত রোগিদের (যেমন- যক্ষা, নিউমোনিয়া, টাইফয়েড, চোখের সমস্যা, কানের সমস্যা ইতাদি) তিনি অন্যত্র রেফার করেন। তিনি এককভাবে কোন রোগের চিকিৎসা করেননা। তার মূলনীতি হল- সব রোগের গোড়ায় হাত দেওয়া এবং জে, কে লাইফস্টাইল (J.K. Lifestyle) অনুসরন করানোর মাধ্যমে তা ধীরে ধীরে নির্মূল করে দেওয়া এবং সুস্থ, উপভোগ্য ও আনন্দদায়ক জীবন গঠনে সাহায্য করা।
এর জন্য ডাঃ জাহাঙ্গীর কবির দেহের যে যে সংস্কার ও উণ্ণয়নের উপর গুরুত্ব দেন তা হল-
- কোষ খালি করা।
- কফি এনেমার (Coffee Enema) মাধ্যমে Gut বা অন্ত্র (পেটের নাড়িভূড়ি) পরিস্কার করা এবং পরিস্কার রাখা।
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা (Immunity) বৃদ্ধি করা।
- প্রদাহ (Inflamation) বন্ধ করা বন্ধ রাখা।
- ভিটামিন ডি ও টেস্টোস্টেরন বৃদ্ধি করে optimal লেভেল এ রাখা।
- ডিটক্সিফিকেশন (Detoxification) এর মাধ্যমে কোষীয় পর্যায় থেকে দেহের সমস্ত ময়লা-আবর্জনা (Toxin) পরিস্কার করা।
- চর্বিযুক্ত বা স্থূল দেহের ওজন কমিয়ে মাস্ল বৃদ্ধি করা।
- রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করা।
- ব্যায়ামের মাধ্যমে শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ও জয়েন্টগুলোকে সচল রাখার ব্যবস্থ্যা করা, শারীর বৃত্তীয় ও বিপাকীয় কাজ গুলোকে সুষ্ঠুভাবে চলতে সাহায়্য করা।
- প্রাকৃতিক, অর্গানিক খাবার ও functional food খাওয়ার মাধ্যমে দেহের পুরোনো অসুস্থ কোষগুলোকে সরিয়ে নতুন শক্তিশালী কোষে রূপান্তরিত করে ফেলা।
- বডিতে পর্যাপ্ত অক্সিজেন সরবরাহের ব্যবস্থা রাখা।
- বডিকে এলকালাইন (Alkaline) করা, এলকালাইন রাখা।
- পেটে ভাল ব্যাক্টেরিয়া গ্রু করার ব্যবস্থা করা
- দেহের ইলেকট্রোলাইট ব্যালেন্স ঠিক রাখা।
- নিঃশ্বাসের ব্যায়াম ও প্রকৃতির সান্নিধ্যর মাধ্যমে মানসিক প্রশান্তি নিশ্চিত করা।
ডাঃ জাহাঙ্গীর কবিরের সংক্ষিপ্ত পরিচয়।
ডাঃ জাহাঙ্গীর কবিরের জন্মস্থান জেলা বাগেরহাট এবং জন্মসাল- ১৯৭৪। তার বাবা ছিলেন একজন আর্মি পার্সোনেল। সেই সুবাধে তার স্কুল জীবন ও ছেলেবেলাটা কাটে বিভিন্ন ক্যান্টনমেন্টে। ১৯৯২ সালে আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজ থেকে স্টার মার্কস সহ এইচ.এস.সি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। পরবর্তীতে ১৯৯৩-‘৯৪ সালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে ভর্তি হয়ে ২০০০ সালে কৃতিত্বের সাথে এম.বি.বি.এস সম্পন্ন করেন।
⮟
ইন্টার্নশীপ সম্পন্ন করার পরে ২০০২ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত তিনি ফেনীর ন্যাশনাল হাসপাতালে আবাসিক মেডিকেল অফিসার হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। আবাসিক ডাক্তার হিসাবে দীর্ঘ সময় ব্যাপী দায়িত্ব পালনের সুবাদে তিনি ব্যাপক ও বিচিত্র রোগীর সংস্পর্শে আসার সুযোগ পান এবং তাদের চিকিৎসার মাধ্যমে ব্যাপক অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেন। সেই সময়েই তিনি লাইফস্টাইল জনিত রোগীদের দুরবস্থা দেখে বিচলিত হন এবং রোগগুলোর কারন ও উৎস অনুসন্ধান ও ওষুধবিহীন প্রাকৃতিক নিরাময়ের উপর ব্যাপক গবেষণ করেন ও সফল হন। তিনি রোগীদের ও নিজের উপর এই পদ্ধতি প্রয়োগে আশ্চর্যজনক ফলাফল প্রত্যক্ষ করেন এবং এই সেবা সারা দেশে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য সংকল্প করেন এবং এই সেবাকেই পরবর্তী জীবনের লক্ষ হিসাবে বেছে নেন।
⮟
সেই লক্ষকে সামনে রেখে তিনি ২০১৯ সালে ঢাকায় এসে আফতাবনরে অবস্থিত সিরাজ কনভেনশন সেন্টারের ষষ্ঠ তলায় তার প্রতিষ্ঠান (j.K. Lifestyle) প্রতিষ্ঠা করেন। পরবর্তীতে স্থান সংকুলান না হওয়ায় ব্যাপক পরিসরে বর্তমান ঠিকানা আফতাবনগরের নুর ম্যানশনে তার প্রতিষ্ঠান স্থানান্তর করেন। বর্তমানে ডাক্তার, পুষ্টিবিদ, প্যাথলজিস্ট, বিক্রয়কর্মী সহ প্রায় ৪৫০ জন এমপ্লয়ি নিয়ে তিনি তার এ স্বাস্থ্য সেবা সারা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়ার মিশনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
তিনি যে যে প্রশিক্ষন/কোর্স সম্পন্ন করেন
২০০৯ সালে তিনি BIUR, Dhaka থেকে আলট্রাসনোগ্রাফির উপর সার্টিফিকেট কোর্স সম্পন্ন করেন। ২০১০ সালে FCGP পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করেন এবং একই সালে বারডেম হাসপাতাল থেকে ডায়াবেটিস এর উপর উচ্চতর ডিগ্রী CCD তে কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হন। ২০১১ সালে তিনি এ্যাজমা এর উপর ডিপ্লোমা মডিউল ইন এ্যাজমা (ইংল্যান্ড) অর্জন করেন। ২০১২ সালে তিনি ডায়াবেটিসের উপর ডিপ্লোমা মডিউল ইন ডায়াবেটিস (ইংল্যান্ড) অর্জন করেন। এছাড়াও তিনি ডিপ্লোমা মডিউল ইন সিওপিডি (ইংল্যান্ড) এবং স্পাইরোমেট্রির উপর স্পাইরো ৩৬০ কোর্স কৃতিত্বের সাথে সম্পন্ন করেন।
বর্তমানে তিনি ডিপ্লোমা ইন্টারন্যাশনাল এ্যাজমা মডিউল কোর্সের ট্রেনার ও মেন্টর হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও তিনি Bangladesh Primary Care Respiratory Society (BPCRS) এর Joint Secretary হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন।
ডাঃ জাহাঙ্গীর কবিরের চিকিৎসা পদ্ধতি
আমরা পূর্বের স্টেপ এ দেখিয়েছি, পরিপূর্ণ সুস্থতার গাইডলাইন J.K. Lifestyle এ দেহের কি কি সংস্কার ও উন্নয়ন করা হয়।
কিন্তু এ সংস্কারগুলো তিনি কিভাবে কি পদ্ধতিতে করেন অর্থাৎ তার চিকিৎসা পদ্ধতিটা কি চলুন তা জেনে নিই-
J.K. Lifestyle এর সুস্থতার মূলমন্ত্রে রয়েছে ৫ টি বিশেষ শর্ত। এই শর্তগুলি সম্মিলিতভাবে পালন করলেই J.K. Lifestyle অনুসরন করা হবে অর্থাৎ কাঙ্খিত লক্ষ অর্জিত হবে। সেগুলো হল-
1. স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস
2. না খাওয়ার অভ্যাস (অটোফেজি)
3. উন্নত ঘুমের অভ্যাস
4. দৈনন্দিন ব্যায়ামের অভ্যাস
5. মানসিক প্রশান্তির চর্চা।
এই শর্তগুলো পূরণ করতে তিনি তৃনমূল পর্যায়ে নিম্নলিখিত কাজগুলো (Action) সম্পন্ন করার জন্য পরামর্শ/পেসক্রিপশন প্রদান করেন। এই নিয়মগুলি পালনের ক্ষেত্রে ডাঃ জাহাঙ্গীর কবির বিন্দুমাত্র শিথিলতা গ্রহণ করেননা।
1. সুস্থ খাবার খাওয়া
2. রোজা রাখা/ফাস্টিং করা
3. আগে আগে ঘুমিয়ে ভোরে জাগা (Early to bed early to rise)
4. শারীরিক ব্যায়াম
5. শ্বাসের ব্যায়াম
6. ইয়োগা
7. গায়ে রৌদ্র লাগানো
8. ভোরে (ফজরের পর পর) হাঁটতে বেরোনো
9. সকালে খালি পায়ে ঘাসে হাঁটা
10. প্রকৃতির সান্নিধ্যে যাওয়া
11. বরফ থেরাপি করা
12. হট-কোল্ড শাওয়ার নেওয়া
13. কফি এনেমা (Coffee Enema) করা
14. মানসিক প্রশান্তির চর্চা
15. আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল করা
16. কল্যান কাজ করা
17. দুঃশ্চিন্তা ত্যাগ করা, হাসিখুশি থাকা
18. ফাংশনাল ফুড খাওয়া
19. প্রয়োজনীয় সাপ্লিমেন্ট নেওয়া
20. সর্ব অবস্থায় সৎ থাকা
ডাঃ জাহাঙ্গীর কবিরের প্যাথলজি (Pathology) বিভাগ
ডাঃ জাহাঙ্গীর কবির একক কোন রোগকে টার্গেট করে সাধারণত কোন টেস্ট দেননা। এখানে আছে প্যাকেজ টেস্ট (Package test) এর ব্যবস্থা। রোগীর সার্বিক অবস্থা জানার জন্য সর্বপ্রথমে Package 1, Package 1 plus, Package 2, Package 2 plus এর যে কোন একটি প্যাকেজ দেওয়া হয়। পরবর্তীতে প্রয়োজনে আলাদা টেস্ট দেওয়া হয়। এই টেস্টগুলোতে ২০% ছাড়।
উল্লেখ্য, প্যাথলজি বিভাগে ডাঃ জাহাঙ্গীর কবিরের আছে বিশ্বমানের জাপানি মেশিন। রিপোর্টগুলো পৃথিবীর যে কোন মেডিক্যাল ল্যাবরেটরির চ্যালেঞ্জে উত্তীর্ণ হওয়ার যোগ্য।
প্যাকেজ টেস্ট এ দেহের সার্বিক অবস্থা জানার জন্য সাধারণত যে যে টেস্টগুলো দেওয়া হয়-
- Homa IR
- TG/HDL
- CRP
- OGTT
- OGIS
- C-peptide
- Fasting Lipid Profile
- CBC
- S. Creatinine
- SGPT
- 25-OH Vitamin D (total)
- Fasting blood sugar
- Fasting insulin level
ডাঃ জাহাঙ্গীর কবিরের J.K. Lifestyle এর প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো
বর্তমানে ঢাকার আফতাবনগরের নূর টাওয়ারের গ্রাউণ্ড ফ্লোর থেকে শুরু করে ৫ম তলা পর্যন্ত বিস্তৃত আছে ডাঃ জাহাঙ্গীর কবিরের J.K. Lifestyle Ltd.। এর বিভিন্ন ফ্লোরে নিম্নলিখিত বিভাগগুলো রয়েছে-
- সেশন রুম (Session room)
- বিক্রয় কেন্দ্র (Outlet)
- ডাক্তারদের রুম (Doctors’ rooms)
- পুষ্টিবিদ্দের রুম (Nutrotionists’ rooms)
- রেস্টুরেন্ট
- জীম (Gym)- পুরুষদের জন্য ২ টি বিশাল ফ্লোর
- জীম (Gym)- মহিলাদের জন্য ১ টি আলাদা বিশাল ফ্লোর
- প্যাথলজি (Pathology)
- প্যাথলজি কালেকশন (Pathology collection) ইত্যাদি।
শেষকথা
প্রিয় পাঠক-
ডাঃ জাহাঙ্গীর কবিরের ব্যাপারে কিছু কথা বললাম। বলতে পারেন- প্রমোট (Promote) করলাম। ডাঃ জাহাঙ্গীর কবিরের মত একজন মহান ডাক্তারকে প্রমোট করে সত্যিই গর্ববোধ করছি। এর পিছনে অন্য কোন উদ্দেশ্য নেই- সেবা ছাড়া বা সাধারন মানুষকে স্বাস্থ্য সচেতন করা ছাড়া। ডাঃ জাহাঙ্গীর কবিরও সেবার মনোভাব নিয়েই সব কিছু করছেন। তার প্রতিদিনের কথাবার্তায় থাকে কসাই ডাক্তারদের প্রতি বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ।
যাই হোক, আপনার সুস্থতার জন্য, জীবনের জন্য, প্রশান্তির জন্য কোন লাইফস্টাইল আপনাকে ফলো করতেই হবে। সেটা আপনি কাউকে অনুসরনের মাধ্যমে করেন বা নিজে নিজে একটা আবিস্কার করে নেন। শুধু মনের বা প্রবৃত্তির নির্দেশে চলবেন না। জীবনটাকে নিয়ে নতুন করে ভাবুন, হায়াত-মওত আল্লাহর হাতে। কিন্ত যতদিন বাঁচবেন, সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য যুদ্ধে অবতীর্ন হোন।
জেনে নিন- আপনি জাহাঙ্গীর কবিরের সংস্পর্শে বা সান্নিধ্যে এলে নিম্নের যে কোন উপায়ে উপকৃত (Benefited) হতে পারেন।
১: আপনি ডাঃ জাহাঙ্গীর কবিরের প্রতিষ্ঠানে যেতে পারেন, ফ্রি সেশনে অংশগ্রহন করতে পারেন, মতামত রাখতে পারেন, ফ্রি ডাক্তার ও পুষ্টিবিদ দেখাতে পারেন। এভাবে জে. কে. লাইফস্টাইল মানা শুরু করতে পারেন।
২: বাসায় বসে তার প্রতিদিনের লাইভ শুনতে পারেন, আগের ভিডিওগুলো দেখতে পারেন, ইউটিউব প্লেলিস্ট থেকে ক্যাটাগরিভিত্তিক ভিডিওগুলো দেখে নলেজ অর্জন করতে পারেন এবং নিজে নিজেই লাইফস্টাইল মানা শুরু করতে পারেন।
৩: ভিডিও দেখে এবং আসা যাওয়ার মাধ্যমে নলেজ অর্জন করে, জাহাঙ্গীর কবিরের ‘ফিরে আসার গল্প’ নামক প্রোগ্রাম থেকে রোগীদের ফিডব্যাক শুনে অভিজ্ঞতা নিতে পারেন। আপনার পেশা, বয়স, সময়, সুযোগ, পারিবারিক ও আর্থিক অবস্থা বিবেচনায় নিজে নিজেই একটা লাইফস্টাইল তৈরি করে নিয়ে অনুসরন করা শুরু করতে পারেন।
৪: আপনি যদি ইতোমধ্যেই লাইফস্টাইল জনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন, তাহলে ফ্রি ডাক্তারদের দেখিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার মাধ্যমে এগুতে পারেন। চাইলে ডাঃ জাহাঙ্গীর কবিরের সিরিয়াল ম্যানেজ করার চেষ্টাও করতে পারেন। কিন্তু আমার অভিজ্ঞতা বলছে, কমপক্ষে ৮/১০ মাসের আগে ডাঃ জাহাঙ্গীর কবিরের সিরিয়াল পাবেন না। তার প্রতিষ্ঠানের অন্য ডাক্তার দেখাতে পারবেন।
ডাঃ জাহাঙ্গীর কবিরের কন্টাক্ট ইনফরমেশন
ঠিকানা : ২৯/৩১, নূর টাওয়ার, রোড- ১, সেক্টর- ২, ব্লক- ডি, আফতাবনগর, বাড্ডা, ঢাকা।
লোকেশন/যাতায়ত : ঢাকার রামপুরা ব্রিজ এর কাছে নেমে, ব্রিজের ঢালেই পাবেন আফটাবনগর হাউজিং প্রজেক্টের গেইট। সেখান থেকে রিকশা বা মিশুকে করে নূর টাওয়ার।
ফোন : ০৯৬৭৮২৪২৪০৪।
ইউটিউব লিঙ্ক : DR. JAHANGIR KABIR
ডাঃ জাহাঙ্গীর কবির সম্পর্কে নিচের পোস্টটিও পড়ুন-
☛: ডাঃ জাহাঙ্গীর কবিরের জে. কে. লাইফস্টাইলঃ ঘুনে ধরা দেহে নতুন ফাউন্ডেশন
☕
ডাঃ জাহাঙ্গীর কবির বাংলাদেশের লাইফস্টাইল মডিফায়ার হিসাবে চিকিৎসা জগতে এক যুগান্তকারী ধারনার সৃষ্টি করেছেন। তার উদ্ভাবিত জে, কে, লাইফস্টাইল অনুসরনের মাধ্যমে হাজার হাজার ডায়াবেটিস রোগি ডায়াবেটিস থেকে সম্পূর্ণ আরোগ্য লাভ করেছেন।