প্রশান্তির জন্য শিখিঃ জি.এম.ও (GMO) ফুড কি? Non-GMO ফুড কোথায় পাব?

জি.এম.ও ফুড (GMO Food) এর নাম শুনেছেন কখনো? না শুনলেও সমস্যা নেই। হাইব্রিড খাবারের নাম তো নিশ্চয় শুনেছেন। হাইব্রিড ধান, গম, লাউ, কুমড়া, মুলা, করলা, পেঁপে হাইব্রিড হাঁস-মুরগি, হাইব্রিড গরু, হাইব্রিড খাসি, হাইব্রিড পেয়ারা, কুল, শসা, তরমুজ- কি নেই হাইব্রিডে। হাইব্রিড কে আর আপনার চিনার প্রয়োজন নেই, হাইব্রিডই আপনাকে চিনে নিয়েছে। আপনাকে দশদিক থেকে বেধে রেখেছে। আপনার মাসিক বাজেটও দাঁড়িয়ে গেছে হাইব্রিড খাবারের হিসাবে। আপনি এর থেকে বের হতে পারবেন বলে মনে হয়না।

প্রিয় পাঠক, জি.এম.ও ফুড (GMO Food) মানেই কিন্তু হাইব্রিড খাবার নয়। জি.এম.ও ফুড হাইব্রিডের চেয়ে অনেক বেশি কিছু। হাইব্রিড হল জি.এম.ও ফুড এর একটি উদাহরন মাত্র। আরো অনেক ধরেনের জি.এম.ও ফুড আছে। কোনটি বেশি ফলনের জন্য বা দ্রুত ফলনের জন্য, কোনটি খরা বা বন্যা সহনশীলতার জন্য, কোনটি পোঁকামাকড়ের আক্রমন থেকে বাঁচানোর জন্য, আবার কোন ক্ষেত্রে শীতের ফসল গ্রীষ্মে এবং গ্রীষ্মের ফসল শীতে ফলানোর সুবিধার জন্য জি.এম.ও তে পরিবর্তন করে ফেলা হয়।

যাই হোক, জি.এম.ও ফুড (GMO Food) আপনি খাবেন কি খাবেন না এ ব্যাপারে আপনি এখনি ভাববেননা। আমাদের সবার প্রয়োজন এ ব্যাপারে সঠিক নলেজ। শেষে খাওয়া না খাওয়ার ব্যাপারটা আপনি নিজেই বুঝবেন, আমাদেরও পরামর্শ পাবেন। তাহলে চলুন শিখে নিই সুস্থতার জন্য, জীবনের জন্য, প্রশান্তির জন্য।

জি.এম.ও ফুড (GMO Food) টা আসলে কি?

GMO এর পূর্ণ অর্থ হল- Genetically Modified Organism, যার বাংলা অর্থ- জিনগতভাবে পরিবর্তিত জীব। আর জি.এম.এ ফুড মানে তো বুঝতেই পারছেন- জিনগতভাবে পরিবর্তিত জীব (উদ্ভিদ ও প্রানি) থেকে যে খাবার পাওয়া যায়। কি! বিষয়টা কি খুব বেশি কঠিন মনে হচ্ছে? যতই কঠিন হোক, আমরা আপনাকে বুঝিয়েই ছাড়ব- আপনার নিজের মত করে, সহজ ভাষায়।

আমরা খাদ্য পাই উদ্ভিদ ও প্রানি থেকে। এই উদ্ভিদ ও প্রানিগুলোর কিছু বৈশিষ্ট্য আছে। যেমন- কোন সব্জি শুধু শীতকালে হয়, কোনটি গ্রীষ্মকালে; কোনটির স্বাদ টক, কোনটি মিষ্টি; কোন শস্য ছয়মাসে ফলে, কোনটি দুই মাসে; কোনটির ফলন কম হয়, কোনটির বেশি; আবার কোন সব্জি হয়ত তাড়াতাড়ি পচে যায়, কোন ফল আকারে বড়, কোনটির ছোট। আবার কোন মুরগি বছরে হয়ত ১০০ টি ডিম দেয়, কোন গাভী দৈনিক শুধু ২ লিটার দুধ দেয়, কোনটি বেশি। কোন প্রানি বা উদ্ভিদ হয়ত সহজেই রোগ-জীবাণুতে আক্রান্ত হয়ে মারা যায় এবং এরকম আরো শত শত বৈশিষ্ট্য।

মানবজাতি (বিজ্ঞানীরা) ভাবল, মুলা শুধু শীতকালে খাব কেন, গ্রীষ্মকালে কেন নয়? মুরগি ৩৬৫ দিনের মধ্যে কেন শুধু ১০০ ডিম দেবে, ৩০০ টি কেন নয়? বরই কেন এত ছোট হবে এবং ছোট একটি গাছে কেন ১০ মন বরই ধরবেনা? এই ধরনের অনুসন্ধান থেকেই তারা খুঁজে বের করতে চাইল, জীবের দেহে কোথায় থাকে সেই বৈশিষ্ট্য যার কারনে কোন ধানের চাল চিকন হয়, কোনটি মোটা হয়, কোনটি সুগন্ধি হয় এবং এরকম আরো অনেক ধরনের তথ্য।

বিজ্ঞানের অগ্রগতির মধ্য দিয়ে বিজ্ঞানীরা পেয়েও গেছেন সেই জবাব। আসলে উদ্ভিদ ও প্রানির এই বৈশিষ্ট্যগুলো থাকে কোষের জিন (Zene) এ। ফলে এই জিনকে পরিবর্তন করে উদ্ভিদ ও প্রানির নিজস্ব বৈশিষ্ট্যকে পালটে দেওয়ার কৌশল বা প্রযুক্তিও বের করে ফেললেন তারা। এখন প্রশ্ন হল, জিন কি, যা পরিবর্তন করলে কোন উদ্ভিদ ও প্রানির ধর্মকে পাল্টে দেওয়া যায়। যেমন- একটি ছোট সাইজের পেয়ারার গাছকে বড় সাইজের পেয়ারার গাছে রূপান্ত্রিত করে ফেলা যায়? আসুন জেনে নিই-

জিন (Zene) কি?

জিন নামটি শুনলেই সবার আগে মনে আসে কোরআনে বর্ণিত মানুষের মত যে এক প্রকার মাখলুক আছে সেই জ্বীন এর কথা। আসলে এই ‘জিন’ আর সেই ‘জ্বীন’ এক নয়। মানুষের কোষের মধ্যে যে জিন (Zene) থাকে, সেটা একটা জীববিজ্ঞান (Biology) এর আলোচ্য বিষয়। সহজ করে বলি-

জীবদেহ কোটি কোটি কোষ (Cell) দ্বারা গঠিত; যেরূপ একটি বিল্ডিং অসংখ্য ইট দ্বারা গঠিত। এই কোষ এত ক্ষুদ্র যে খালি চোখে দেখা যায়না। কোষ এবং এর ভিতরে যে আরো অনেক অনেক ধরনের অঙ্গাণু বা অংশ রয়েছে, সেগুলোকে দেখতে হয় ইলেক্ট্রন মাইক্রোস্কোপ যন্ত্রের সাহায্যে। কোষের অঙ্গাণুগুলোর মধ্যে প্রধান অঙ্গাণুটি হল নিউক্লিয়াস (Nucleus)। নিউক্লিয়াস এ থাকে অনেকগুলো সূক্ষ্ম সুতার মত জিনিস। এর নাম ক্রোমোজোম (Chromosome)।

ক্রোমোজোম দুই ধরনের নিউক্লিক অ্যাসিড ও দুই ধরনের প্রোটিন দিয়ে গঠিত। এর মধ্যে একটি নিউক্লিক অ্যাসিড হল- ডিএনএ (DNA)। এই ডিএনএ (DNA) ই বংশগতির বৈশিষ্ট্য বহন করে। সূক্ষ্ম সুতার মত ডিএনএ এর মাথায় থাকে জিন (Zene) যার মধ্যে জীবের আলাদা আলাদা বৈশিষ্ট্যের তথ্য থাকে। এই জিনকে পাল্টে ফেলার মাধ্যমেই একটি জীবের নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্যকে পাল্টে দেওয়া যায়।

এখন প্রশ্ন হল- কোষের ভিতরের এত সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম জিনিস এই জিনকে পাল্টে ফেলার মত এত ভয়াবহ জটিল কাজটা কিভাবে করা হয়? উত্তর হল-

জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং (Genetic Engineering) এর মাধ্যমে

তাহলে চলুন জেনে নিই, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর মাধ্যমে কিভাবে জি. এম.ও ফুড এর জন্য উপযোগী করে উদ্ভিদ ও প্রানিকে পরিবর্তন করে ফেলা হয়। কি হতাশ হচ্ছেন? কঠিন? চিন্তার কারন নেই, আমাদেরকে ইঞ্জিনিয়ারিং শিখতে হবেনা। সাধারন স্বাস্থ্য জ্ঞানের জন্য জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর মূল বিষয়টাকে বুঝতে আমাদের কমন সেন্সই যথেষ্ট।

জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং (Genetic Engineering) এর মাধ্যমে জি. এম.ও ফুড

জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বুঝার জন্য উপরে আলোচিত ‘জিন কি’ অংশটুকু আর একবার পড়ে নিন। জিন কথা থেকেই এসেছে জিনেটিক। অর্থাৎ জিনকে পরিবর্তন ও রূপান্তর করে দেওয়ার যে ইঞ্জিনিয়ারিং সেটাই জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং। বাংলাদেশ সহ পৃথিবীর উন্নত দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে Genetic Engineering নিয়ে পড়াশোনার ব্যবস্থা আছে।

ধরা যাক কোন একটি ফল এর নাম A। এটি আকারে ছোট। অন্য একটি ফল- এর নাম B এবং এটি আকারে বড়। A ফলটি যে আকারে ছোট এই বৈশিষ্ট্যটি কিন্তু A ফলের জিন দ্বারা নির্ধারিত। অর্থাৎ A ফলের ক্রোমোজোমে এমন এক জোড়া জিন রয়েছে যার কারনে ফলটি ছোট হয়। পক্ষান্তরে B ফলের ক্রোমোজোমে এমন এক জোড়া জিন রয়েছে যার কারনে ফলটি বড় হয়। এখন যদি যে কোন ভাবেই প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে, A ফলের ছোট বৈশিষ্ট্য দানকারী জিনকে কেটে আলাদা করে ফেলা যায় এবং সেই স্থানে B ফলের বড় বৈশিষ্ট্য দানকারী জিনকে আঠা দিয়ে লাগিয়ে দেওয়া যায়, তাহলেই তো কাজ হয়ে গেল। A ফলের গাছে ছোট ফল না ধরে B এর মত বড় ফল ধরতে থাকবে। এই কাজটিই জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং।

একইভাবে প্রযুক্তি ব্যবহার করে জিনকে কাটাকুটি ও অদল বদলের মাধ্যমে, খাদ্যদ্রব্য দানকারী উদ্ভিদ ও প্রানিকে গবেষনাগারে মানুষের ইচ্ছামত রূপবদল করে নতুন নতুন জি.এম.ও ফুড বানানো হচ্ছে। আর এটাই জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারদের কাজ।

জি.এম.ও ফুড (GMO Food) কেন এল?

উত্তরটা সহজ। হয়ত ইতোমধ্যেই আপনি বুঝে ফেলেছেন। জি.এম.ও ফুড আনা হয়েছে মানুষের ভারসাম্যহীন ইচ্ছাকে প্রকৃতির উপর আরোপ করে প্রকৃতিকে মানুষের মুখোমুখি দাঁড় করানোর জন্য। আর প্রকৃতির বিরুদ্ধে দাঁড়ালে কি হয় তা তো আমরা প্রতিনিয়তই দেখতে পাচ্ছি। যাই হোক, কিছু তাৎক্ষণিক বাস্তব প্রয়োজনও ছিল যার কারনে মানুষ জি.এম.ও ফুড কে স্বাগত জানায়। অর্থাৎ জি.এম.ও ফুড এসেছে-

  • উন্নত বৈশিষ্ট্যর উদ্ভিদ ও প্রানি উৎপাদনের জন্য।
  • উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য।
  • উৎপাদন খরচ ও সময় বাঁচানোর জন্য।
  • উদ্ভিদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য।
  • পোকামাকড়ের উপদ্রব থেকে সহনশীল করার জন্য।
  • আগাছে প্রতিরোধক হিসাবে গড়ে তোলার জন্য।
  • শস্যের মাঝে অধিক ভিটামিন ও মিনারেল প্রবেশ করানোর জন্য। ইত্যাদি

যাই হোক, জি.এম.ও ফুড (GMO Food) তাৎক্ষণিকভাবে এই সমস্ত সমস্যার অনেকটা সমাধান করলেও, রেখে যাচ্ছে মানবজাতির জন্য বিরাট স্বাস্থ্য ঝুঁকি, যা আমরা পরবর্তি ধাপে দেখব।

জি.এম.ও ফুডঃ কেন খাব কেন খাবনা

জি.এম.ও ফুড (GMO Food) তো আপনি খাচ্ছেন; আপনি চাইলেই তা ত্যাগ করতে পারছেননা। কারন আপনি ইচ্ছা করলে আপনার বসবাসেরর জায়গা একমাত্র পৃথিবীটা ত্যাগ করে বাক্স-পেটরা গুছিয়ে মঙ্গল গ্রহে চলে যেতে পারবেননা। কিন্তু আপনি যদি স্বাস্থ্য সচেতন হোন, তাহলে জি.এম.ও ফুড আপনার খাওয়া উচিত নয়। জি.এম.ও ফুড এর পক্ষে কে কি বলছে, জি.এম.ও ফুড ছাড়া প্রাকৃতিক খাবার কোথায় পাব- এ সব প্রশ্নকে চ্যালেঞ্জ করে আপনাকে উপলদ্ধি করতে হবে যে, জি.এম.ও ফুড আপনার জন্য নয়। আপনাকে মনে রাখতে হবে, কোষীয় পর্যায় থেকে ঘেটে ঘুটে নষ্ট করে ফেলা ল্যাবরেটরিতে বানানো এ খাদ্যগুলো, আল্লাহর দেওয়া এই প্রাকৃতিক দেহটার সাথে যায়না।

জি.এম.ও ফুড কে আপনার ‘না’ বলতে হবে, কারন-

  • জি.এম.ও ফুড এর স্বাস্থ্য ঝুঁকির বিষয়টা বিভিন্ন গবেষনায় প্রমানিত হয়েছে।
  • বিভিন্ন GM জীবের মাঝে ভিন্ন ভিন্ন উপায়ে ভিন্ন জীবের জিন ঢুকানো হয়। যেমন- হতে পারে মুরগির সাথে ইঁদুরের জিন। সব ক্ষেত্রে জিনের এ পরিবর্তন মানবদেহের জন্য নিরাপদ কিনা তা পরীক্ষিত নয়।
  • জি.এম.ও ফুড কোষীয় পর্যায় থেকে পরিবর্তন করা হয়। ফলে বিধাতার দেওয়া আমাদের দেহটা এই খাবারকে সঠিক খাদ্য হিসাবে ডিটেক্ট করতে পারেনা। ফলে শারীরিক জটিলতার ঝুঁকি সৃষ্টি হয়।
  • বিভিন্ন ধরনের জি.এম.ও ফুড খেয়ে বিভিন্ন প্রানির মৃত্যু ও রোগে আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি প্রমানিত হয়েছে।
  • জি.এম.ও ফুড দীর্ঘমেয়াদে বিরাট স্বাস্থ্য ঝুঁকি সৃষ্টি করে।

সকল লাইফস্টাইল মডিফায়াররা জি.এম.ও ফুড বর্জন করতে বলেছেন। আপনি আপনার সার্বিক সুস্থতার জন্য কোন লাইফস্টাইল অনুসরন করতে চাইলে জি.এম.ও ফুড বাদ দিবেন, এটাই সময়ের দাবী।

নন-জি.এম.ও ফুড (Non-GMO Food) কোথায় পাব?

নন-জি.এম.ও ফুড (Non-GMO Food) বা জি.এম.ও নয় এমন খাবার অর্থাৎ আল্লাহর দেওয়া প্রাকৃতিক খাবার আমরা কোথায় পাব?- এটা একটা কমন প্রশ্ন। আপনার মনে যদি এ প্রশ্নটি জাগে, তাহলে ধরে নেওয়া যায় যে, আপনি জি.এম.ও ফুডকে ‘না’ বলার জন্য মনস্থির করেছেন। কিন্তু নন-জি.এম.ও ফুড পাওয়াটা খুবই চ্যালেেঞ্জিং একটা কাজ।

এক্ষেত্রে আমরা ডাঃ জাহাঙ্গীর কবিরের দৃষ্টিভঙ্গিটা গ্রহন করতে পারি-

ডাঃ জাহাঙ্গীর কবির J.K Lifestyle এ জি.এম.ও ফুড একেবারে নিষিদ্ধ। প্রাকৃতিক হাঁস-মুরগি-গরু-ছাগল যদি খামারের আবদ্ধ পরিবেশে পালন করা হয়, তবে তা খাওয়া নিষেধ। অর্থাৎ এমন প্রানির দুধ, মাংস খেতে হবে যেগুলো উম্মূক্ত স্থানে চড়ে বেড়ায়, নিজে নিজে ঘাস বা খাবার খায়, প্রাকৃতিকভাবেই ব্যায়াম হয়ে যায়, রোদের আলো পায়। এবং এদেরকে দ্রুত লাভের আশায় হরমোন, এন্টিবায়োটিক বা এ ধরনের কোন ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়না।

ডাঃ জাহাঙ্গীর কবির এর পরামর্শ- প্রয়োজনে গ্রাম থেকে সারবিহীন-কীটনাশকবিহীন জৈব সার দিয়ে উৎপাদিত শাকসব্জি সংগ্রহ করে খেতে হবে। গ্রামের শুকনা হাল চাষ করা গরুর মাংস না পাওয়া গেলে কয়েকজন মিলে ‘গরুর মাংস খাওয়া কমিটি’ গঠন করে এরকম ক্রাইটেরিয়া পূর্ণ করা গরু কিনে জবাই করে ভাগ করে নিতে হবে। সম্ভব হলে নিজে উৎপাদন করতে হবে দেশিয় হাঁস-মুরগি ও সব্জি।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ডাঃ জাহাঙ্গীর কবির গ্রামের কৃষকদের সাথে নিয়ে প্রাকৃতিক কৃষির উদ্যোগ নিয়েছেন, যার মাধ্যমে জৈব সার ও জৈব কীটনাশক দিয়ে প্রাকৃতিকভাবে ফসল উৎপাদন করে স্বাস্থ্য সচেতন মানুষকে হাইব্রিড ও জি.এম.ও ফুড থেকে বাঁচিয়ে রাখার সুযোগ সৃষ্টি করে দেওয়া হবে। খুব সম্ভবত দুই এক বছরের মধ্যেই এই প্রচেষ্টার সুফল আমাদের হাতে এসে পৌঁছাবে।

ধন্যবাদ সবাইকে!!

মন্তব্য করুন